পলিটিকাল টেরোরিজম [Political Terrorism] | NARODNIK


 

পলিটিকাল টেরোরিজম
কলমে - এহসান আহমেদ খান



টেরোরিজম হচ্ছে সেই শব্দ যার অর্থ সন্ত্রাস, এবং এই শব্দটাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক একইভাবে টেরোরিজম আসলেই যে সন্ত্রাস তার চিত্রও কিন্তু আছে। টেরোরিজম তখনই সক্রিয় হয়ে উঠে যখন পলিটিকাল আইডিওলজিকে গণতান্ত্রিক পন্থার বাইরে গিয়ে মিলিট্যান্সি,ভিজিল্যান্টি বা ম্যাস মুভমেন্ট এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যেহেতু এটা বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা অর্জন এর মহান মাস সেহেতু আমি পলিটিকাল টেরোজিমকে সাতচল্লিশ থেকে একাত্তরের ঢাকার রাজনীতি এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার করা বাংলাদেশ এর সেই গৌরবের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে আলোচনা করব।


সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর এর কাহিনী তুলে ধরা হোক। দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ হলো এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ছিল পুর্ব বাংলার মুসলিম সমাজ। ভারতবর্ষের সবচেয়ে অবহেলিত জাতি ছিল পূর্ব বাংলার মুসলমান সমাজ। তারা মূলত ছিল কৃষক সম্প্রদায়। ব্রিটিশরা দেওয়ানি লাভের পর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন করে এই অঞ্চলের কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়ে তাদের অনুগত জমিদার শ্রেণীর হাতে তুলে দেয়। এর চরম ভুক্তভোগী ছিল এই দেশের কৃষকেরা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এর দুই বিঘা জমি আজও সেই কালের সাক্ষী। মূলত এই জন্যেই পুর্ব বাংলার একটা বিশাল কৃষক মুসলিম সমাজ পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে।কিন্তু তাদের আঁশা নিরাশায় পরিণত হলো খুব শীঘ্রই। সাতচল্লিশ থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের এলিট মুসলিম সমাজ যারা মূলত উত্তর ভারতীয় উর্দুভাষী এলিট শ্রেণীর মুসলিম সসম্প্রদায় উনারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকেই ভেবেছিল পূর্ব বাংলার জনগণ একধরনের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি ধারণ করা নিম্নশ্রেণীর মুসলিম সমাজ। তাদের প্রতি ঘৃণা একটা পর্যায়ে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের শোষণ এর হাতিয়ার হয়ে উঠে। পূর্ব বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ধ্বংস করা এক প্রয়াস তৈরি হয়। যার শুরুটা ছিল বাংলা ভাষাকে হিন্দুদের ভাষা আখ্যা দিয়ে পুর্ব বাংলার মানুষকে সনাতনী মুসলিম হিসেবে অপমাণ করা। আর তখন থেকেই সোচ্চার হয়ে উঠে এই পূর্ব বাংলার আপামর জনতা। সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর ছিল বাঙলি জাতির এক গৌরবের ইতিহাস। এই সময় এ আওয়ামী লীগ,আওয়ামী ন্যাশানাল পার্টি, বাংলা অঞ্চলের কিছু প্রগতিশীল বাম সংগঠন এবং সর্বপোরি এই বাংলার তরুণ যুব সমাজ যারা ছিল রাজনীতি সচেতন এবং সমাজের দুঃখী অসহায় মানুষের সংগ্রামের সংগ্রামের অগ্রপথিক এবং একই সাথে সংস্কৃতিমনা যারা লড়েছিল ভাষা আন্দোলনে, যারা লড়েছিল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে। আইয়ুব খান এর বিরুদ্ধে সেইসময় এর যে অভ্যুত্থান হয়েছিল ষাটের দশকের শেষ পাচটি বছরে তা ছিল প্রলেতারিয়াত শ্রেণীর এক মহাজাগরণ যার মূলে ছিল স্বাধীকার, গণতন্ত্র, নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই। শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানী, কমরেড মুনি সিংহ, কমরেড মুজাফফর আহমেদ প্রমুখরা হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লব এর এক পেরণা,যেই প্রেরণায় ছাত্র জনতা নেমেছিল রাস্তায়, পতন হয়েছিল আইয়ুব খান এর।


পাকিস্তানের মুসলিম লীগ এর সভাপতি ভুট্টো ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বুঝতে পেরেছিল বাঙলী জাতি যতটা না পাকিস্তানি তার থেকে বেশি বাঙালী যেইটা প্রমাণিত হয় সত্তরের নির্বাচন এ পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরংকুশ সাফল্যে যা পশ্চিম পাকিস্তানে মুসলিম লীগ এর বিজয়কে ছাড়িয়ে যায়। বাংলা অঞ্চল তখন স্বাধীকার আদায় এর দ্বারপ্রান্তে তারা তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পুরো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মসনদে বসাতে প্রস্তুত তখন পাকিস্তানিরা আবার শুরু করল টালবাহানা।তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে না আর গোপনে গোপনে ছক কষছে একটা গণহত্যার যেটা তারা বাস্তবায়ন করেছিল পচিশে মার্চ রাতে আর দোষ দিয়েছিল বাংলার মানুষকে তাদের আখ্যায়িত করেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে। যে ধর্মীয় জাতীয়বাদী ঘৃণাকে ধারণ করে বাঙালির অধিকার, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার প্রয়াস নিয়েছিল সাতচল্লিশ এ সেটার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন ঘটে একাত্তরের পচিশে মার্চ এক নিষ্ঠুর গণহত্যার মাধ্যমে।নিজেরদের পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য রাষ্ট্রের আর্মিকে দিয়ে গণহত্যা,গুম, ধর্ষণ এ মেতে উঠে আর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তর মিডিয়াকে তারা নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে বিদেশি সাংবাদিকদের বন্দি করে রাখে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। আর অন্যদিকে বাঙালি জাতি তখন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ গঠনের জন্য নেমে পড়ে যুদ্ধে।সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র শুরু করে মুক্তিযোদ্ধ।পাকিস্তানিরা একদিকে যেমন নিজেরা গণহত্যা চালিয়েছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্যদিকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আখ্যায়িত করেছে টেরর হিসেবে। বাংলাদেশ এর মানুষ যখন দেখেছে নিজেদের ণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক অধিকার আদায় সম্ভব নয় শান্তিপূর্ণ মিছিলের মাধ্যমে তখন সতস্ত্র বিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়েছে ঠিক যেমন্টা জর্জ ওয়াশিংটন, স্যাম অ্যাডামস, ডক্টর যোসেফ ওয়ারেন্ট এর নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হয়েছিল আমেরিকায়, নেতাজীর নেতৃত্বের ভারতবর্ষে হয়েছিল। কোরিয়ানরা করেছিল ইম্পেরিয়াল জাপানের বিরুদ্ধে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চেয়েছিল একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক মুসলিম কান্ট্রি যেখানে তারা তাদের বাঙালি সত্তাকেও ধরে রাখতে চেয়েছিল।আর পশ্চিম পাকিস্তানিরা চেয়েছিল ইসলামকে একটা হাতিয়ার বা সিম্বল বানিয়ে নিজেদের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাঙালি জাতির উপর শোসন করা। এভাবেই বর্জোয়া শ্রেণী প্রলেতারিয়াত শ্রেণীর উপরে চাপিয়ে দেয় শোসন এবং তাদের সংগ্রামকে আখ্যায়িত করে টেররিজম হিসেবে কিন্তু আসল টেররিজমটা সম্পন্ন করে তারাই রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে, মানুষের বাক স্বাধীনতা,গণতন্ত্র, সংস্কৃতি চর্চাকে রোধ করে এবং সংগ্রামী জাতির উপর গণহত্যা চালিয়ে।একাত্তরের রক্তাক্ত বাংলা যার উদাহরণ এবং ইতিহাসে যারা অমর হয়ে আছে নিজেদের দেশ,জাতির অধিকার রক্ষা করে তারাও একটা সময় আখ্যায়িত হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী হিসেবে। নেতাজী থেকে বঙ্গবন্ধু, ক্ষুদিরাম থেকে একাত্তরের বীর রুমি ভগৎ সিং থেকে বিপ্লবী ভাসানী সবাই হয়ে উঠুক আমাদের প্রেরণা।পলিটিকাল টেরোরিজম
টেরোরিজম হচ্ছে সেই শব্দ যার অর্থ সন্ত্রাস, এবং এই শব্দটাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক একইভাবে টেরোরিজম আসলেই যে সন্ত্রাস তার চিত্রও কিন্তু আছে। টেরোরিজম তখনই সক্রিয় হয়ে উঠে যখন পলিটিকাল আইডিওলজিকে গণতান্ত্রিক পন্থার বাইরে গিয়ে মিলিট্যান্সি,ভিজিল্যান্টি বা ম্যাস মুভমেন্ট এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যেহেতু এটা বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা অর্জন এর মহান মাস সেহেতু আমি পলিটিকাল টেরোজিমকে সাতচল্লিশ থেকে একাত্তরের ঢাকার রাজনীতি এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার করা বাংলাদেশ এর সেই গৌরবের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে আলোচনা করব।
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর এর কাহিনী তুলে ধরা হোক। দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ হলো এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ছিল পুর্ব বাংলার মুসলিম সমাজ। ভারতবর্ষের সবচেয়ে অবহেলিত জাতি ছিল পূর্ব বাংলার মুসলমান সমাজ। তারা মূলত ছিল কৃষক সম্প্রদায়। ব্রিটিশরা দেওয়ানি লাভের পর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন করে এই অঞ্চলের কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়ে তাদের অনুগত জমিদার শ্রেণীর হাতে তুলে দেয়। এর চরম ভুক্তভোগী ছিল এই দেশের কৃষকেরা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এর দুই বিঘা জমি আজও সেই কালের সাক্ষী। মূলত এই জন্যেই পুর্ব বাংলার একটা বিশাল কৃষক মুসলিম সমাজ পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে।কিন্তু তাদের আঁশা নিরাশায় পরিণত হলো খুব শীঘ্রই। সাতচল্লিশ থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের এলিট মুসলিম সমাজ যারা মূলত উত্তর ভারতীয় উর্দুভাষী এলিট শ্রেণীর মুসলিম সসম্প্রদায় উনারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকেই ভেবেছিল পূর্ব বাংলার জনগণ একধরনের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি ধারণ করা নিম্নশ্রেণীর মুসলিম সমাজ। তাদের প্রতি ঘৃণা একটা পর্যায়ে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের শোষণ এর হাতিয়ার হয়ে উঠে। পূর্ব বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ধ্বংস করা এক প্রয়াস তৈরি হয়। যার শুরুটা ছিল বাংলা ভাষাকে হিন্দুদের ভাষা আখ্যা দিয়ে পুর্ব বাংলার মানুষকে সনাতনী মুসলিম হিসেবে অপমাণ করা। আর তখন থেকেই সোচ্চার হয়ে উঠে এই পূর্ব বাংলার আপামর জনতা। সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর ছিল বাঙলি জাতির এক গৌরবের ইতিহাস। এই সময় এ আওয়ামী লীগ,আওয়ামী ন্যাশানাল পার্টি, বাংলা অঞ্চলের কিছু প্রগতিশীল বাম সংগঠন এবং সর্বপোরি এই বাংলার তরুণ যুব সমাজ যারা ছিল রাজনীতি সচেতন এবং সমাজের দুঃখী অসহায় মানুষের সংগ্রামের সংগ্রামের অগ্রপথিক এবং একই সাথে সংস্কৃতিমনা যারা লড়েছিল ভাষা আন্দোলনে, যারা লড়েছিল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে। আইয়ুব খান এর বিরুদ্ধে সেইসময় এর যে অভ্যুত্থান হয়েছিল ষাটের দশকের শেষ পাচটি বছরে তা ছিল প্রলেতারিয়াত শ্রেণীর এক মহাজাগরণ যার মূলে ছিল স্বাধীকার, গণতন্ত্র, নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই। শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানী, কমরেড মুনি সিংহ, কমরেড মুজাফফর আহমেদ প্রমুখরা হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লব এর এক পেরণা,যেই প্রেরণায় ছাত্র জনতা নেমেছিল রাস্তায়, পতন হয়েছিল আইয়ুব খান এর।


পাকিস্তানের মুসলিম লীগ এর সভাপতি ভুট্টো ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বুঝতে পেরেছিল বাঙলী জাতি যতটা না পাকিস্তানি তার থেকে বেশি বাঙালী যেইটা প্রমাণিত হয় সত্তরের নির্বাচন এ পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরংকুশ সাফল্যে যা পশ্চিম পাকিস্তানে মুসলিম লীগ এর বিজয়কে ছাড়িয়ে যায়। বাংলা অঞ্চল তখন স্বাধীকার আদায় এর দ্বারপ্রান্তে তারা তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পুরো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মসনদে বসাতে প্রস্তুত তখন পাকিস্তানিরা আবার শুরু করল টালবাহানা।তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে না আর গোপনে গোপনে ছক কষছে একটা গণহত্যার যেটা তারা বাস্তবায়ন করেছিল পচিশে মার্চ রাতে আর দোষ দিয়েছিল বাংলার মানুষকে তাদের আখ্যায়িত করেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে। যে ধর্মীয় জাতীয়বাদী ঘৃণাকে ধারণ করে বাঙালির অধিকার, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার প্রয়াস নিয়েছিল সাতচল্লিশ এ সেটার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন ঘটে একাত্তরের পচিশে মার্চ এক নিষ্ঠুর গণহত্যার মাধ্যমে।নিজেরদের পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য রাষ্ট্রের আর্মিকে দিয়ে গণহত্যা,গুম, ধর্ষণ এ মেতে উঠে আর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তর মিডিয়াকে তারা নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে বিদেশি সাংবাদিকদের বন্দি করে রাখে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। আর অন্যদিকে বাঙালি জাতি তখন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ গঠনের জন্য নেমে পড়ে যুদ্ধে।সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র শুরু করে মুক্তিযোদ্ধ।পাকিস্তানিরা একদিকে যেমন নিজেরা গণহত্যা চালিয়েছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্যদিকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আখ্যায়িত করেছে টেরর হিসেবে। বাংলাদেশ এর মানুষ যখন দেখেছে নিজেদের ণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক অধিকার আদায় সম্ভব নয় শান্তিপূর্ণ মিছিলের মাধ্যমে তখন সতস্ত্র বিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়েছে ঠিক যেমন্টা জর্জ ওয়াশিংটন, স্যাম অ্যাডামস, ডক্টর যোসেফ ওয়ারেন্ট এর নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হয়েছিল আমেরিকায়, নেতাজীর নেতৃত্বের ভারতবর্ষে হয়েছিল। কোরিয়ানরা করেছিল ইম্পেরিয়াল জাপানের বিরুদ্ধে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চেয়েছিল একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক মুসলিম কান্ট্রি যেখানে তারা তাদের বাঙালি সত্তাকেও ধরে রাখতে চেয়েছিল।আর পশ্চিম পাকিস্তানিরা চেয়েছিল ইসলামকে একটা হাতিয়ার বা সিম্বল বানিয়ে নিজেদের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাঙালি জাতির উপর শোসন করা। এভাবেই বর্জোয়া শ্রেণী প্রলেতারিয়াত শ্রেণীর উপরে চাপিয়ে দেয় শোসন এবং তাদের সংগ্রামকে আখ্যায়িত করে টেররিজম হিসেবে কিন্তু আসল টেররিজমটা সম্পন্ন করে তারাই রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে, মানুষের বাক স্বাধীনতা,গণতন্ত্র, সংস্কৃতি চর্চাকে রোধ করে এবং সংগ্রামী জাতির উপর গণহত্যা চালিয়ে।একাত্তরের রক্তাক্ত বাংলা যার উদাহরণ এবং ইতিহাসে যারা অমর হয়ে আছে নিজেদের দেশ,জাতির অধিকার রক্ষা করে তারাও একটা সময় আখ্যায়িত হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী হিসেবে। নেতাজী থেকে বঙ্গবন্ধু, ক্ষুদিরাম থেকে একাত্তরের বীর রুমি ভগৎ সিং থেকে বিপ্লবী ভাসানী সবাই হয়ে উঠুক আমাদের প্রেরণা।




কলমে: এহসান আহমেদ খান , 
দ্বিতীয় বর্ষ, ইংরেজি বিভাগ 
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

Post a Comment

0 Comments